ভারতের নয়াদিল্লিতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বাতিলের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো সহিংস বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। সরকার সমর্থকদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে বেশ কয়েকটি জায়গায় হামলা, ভাঙচুর হয়েছে।
দিল্লি পুলিশ ২৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার উত্তর-পূর্ব দিল্লির কয়েকটি অংশে শ্যুট-এট-সাইট আদেশ জারি করেছে। সিএএবিরোধী বিক্ষোভকারীরা জাফরাবাদ মেট্রো স্টেশনের বাইরের রাস্তাটি খালি করে দিয়েছে, যেখানে তারা শনিবার রাত থেকেই একটি বিক্ষোভ শুরু করেছিল, দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে।
সংঘর্ষের ঘটনা ক্রমশ ব্যাপক আকার নিচ্ছে। এখন পর্যন্ত এক পুলিশ সদস্যসহ ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, অগ্নিসংযোগ ভাঙচুরের কারণে আহত হয়েছেন অন্তত ১৫০ জন। ৭০ জনের শরীরে গুলির আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্থ উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে বুধবার বিদ্যালয়গুলি বন্ধ থাকবে বলে উপ-সিএম মনিষ সিসোদিয়া জানিয়েছেন।
দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে নবনির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উত্তপ্ত পরিস্থিতির জন্য গুজবকে দায়ী করে অমিত শাহ বলেন, শান্তিরক্ষার জন্য গুজব ছড়ানো বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজধানীতে সেনা মোতায়েন নিয়ে জল্পনা চললেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আপাতত সেনা মোতায়েন হচ্ছে না। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এটাই যথেষ্ট।
Photo Credit : Reuters
[zombify_post]